বিমানের আসন খালি থাকা সম্পর্কিত বিভ্রান্তি নিরসন

10 March 2022

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বিমানের আসন খালি কিন্তু টিকেট নেই’ এ ধরনের প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যার কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। বিমানের সিট খালি থাকা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি নিরসনে বিমান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তুলে ধরা হলো। চলমান করোনা মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) হতে প্রাপ্ত সময় সময় প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল এয়ারলাইন্সের ন্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকেও বাধ্যতামূলকভাবে বেশ কিছু আসন খালি রাখতে হয়। বেবিচকের গত ৮ মার্চ, ২০২২ তারিখের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সংকীর্ণ পরিসরের ড্যাশ ৮-৪০০ এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজগুলোর পিছনের সারির আসনগুলো খালি রাখা হয়। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারগুলোর আসন সংখ্যার ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের ১৫টি আসন এবং বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৪২টি আসন খালি রাখতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে যেমন ফ্লাইট ছাড়ার পূর্বে যাত্রীদের সময়মত উপস্থিত হতে না পারা, ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত হতে না পারা, কোভিড পজিটিভ এর কারণে ‘নো শো’ হওয়ায় আরও কতিপয় আসন শূন্য থাকে। ফলে দৃশ্যমানভাবে অনেক আসন খালি থাকে যা অনেকে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে এবং তা অনেকসময় ভাইরাল হয়। আসন খালি রাখার বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অনেকে অবগত নয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জনমনে সৃষ্ট এ ধরনের বিভ্রান্তি নিরসনে সকলের সহযোগিতা কামনা করছে। 

সম্মানিত যাত্রীবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ। 

প্রকাশের অনুরোধসহ-

তাহেরা খন্দকার

উপ-মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।